সরকার পতনের পরপরই সিরিয়ার গোলান মালভূমির পুরোটাই দখল করে বসেছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী সশস্ত্র গোষ্ঠী এইচ এর জয়ের পর বেপরোয়া হয়ে সিরিয়ার নৌ আর বিমান বাহিনী উড়িয়ে দিয়েছে ইসরাইল অথচ এগুলো ছিল সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সম্পদ।
এই ঘটনা ঘটিয়ে আইডিএফ যুক্তি দিয়েছে ইসরাইলের জন্য হুমকি বিবেচনা করেই সমরাস্ত্র যেন বেহাত না হয়ে যায় তাই সিরিয়ার অস্ত্রাগার ধ্বংস করে দিচ্ছে।
তারা এই ঘটনায় বেজায় চটেছেন সিরিয়ায় সরকার পতন ঘটানোর নেপথ্যের নায়ক এইচটিএস প্রধান আবু মোহাম্মদ আল জোলানী।
তাহলে কি ইসরাইল সীমান্তে যাচ্ছে এইচটিএস। মাত্র 48 ঘন্টায় সিরিয়ার সামরিক ঘাটির 80 শতাংশই উড়িয়ে দিয়েছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী দুই দিনের লাগাতার হামলায় সিরিয়ার বিমান আর নৌবাহিনীর সবকিছু শেষ করে দিয়েছে।
তারা দুই দিনে অন্তত 450 হামলা হয়েছে সিরিয়ার সামরিক স্থাপনায়, আইডিএফ এই অপারেশনের নাম দিয়েছে বাসান অ্যারো। বোমা হামলার লক্ষ্য ছিল আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিমান ঘাঁটি সমরাস্ত্রের ভান্ডার। এসময় সিরিয়ার স্কুড মিসাইল ক্রুজ মিসাইল ধ্বংস করে ইসরাইলের বিমান বাহিনী রাসায়নিক অস্ত্রের গোদাম সন্দেহে হামলা চালায় অনেক স্থানে লাতাকিয়া আর মিনেত আলবেইদা সৈকতের 15 টি সিরিয়ান নৌজান ধ্বংস করে দেয় আইডিএফ।
এইচটিএস কে হুশিয়ারিও দেয় কোনভাবে তেলাবিবের জন্য ঝুঁকি তৈরি করলে পরিণতি ভালো হবে না। গোলান মালভূমির বাফার জোন দখলে নিয়েছে আইডিএফ। শুরুতেই যদিও এখন পর্যন্ত সশস্ত্র গোষ্ঠী এইচটিএস এর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোন বিবৃতি আসেনি, ইসরাইলে হামলা বা দখল করার বর্তমানে এইচটিএস এর একমাত্র লক্ষ্য সিরিয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা। যদিও ইসরাইল যদি এভাবেই আগ্রাসন চালাতে থাকে আগে বা পরে ইসরাইলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। এর মধ্যেই বাঘের মত গর্জে উঠেছেন আবু মোহাম্মদ আল জোলানী।
রাশিয়া ইরান আর ইসরাইলের জন্য তাদের স্পষ্ট বার্তা, সিরিয়াকে ভয় পাবেন না আমাদের ভয়ের উৎস ইরানের মিলিশিয়ারা।
পশ্চিমারা অযথা সিরিয়াকে ভয় পাচ্ছে, যদিও আবু মোহাম্মদ আল জুলানী এখনই সংঘাতে না গিয়ে সিরিয়া পুনর্গঠন করতে চাইছেন কিন্তু ইসরাইল আর তুরস্ক নিজেদের স্বার্থে হামলা করে সিরিয়াকে অস্থিতিশীল।
0 Comments